যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে ফিরছে তেহরানবাসী
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইরানের রাজধানী তেহরানে ফিরেছেন এক বদলে যাওয়া বাস্তবতায়। শহরের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, জনজীবন—সব কিছুতেই লেগে আছে যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন। মানুষের মনে এখনো ভর করেছে ভয়, শঙ্কা আর অনিশ্চয়তা।
আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ জুন) থেকে যুদ্ধকবলিত তেহরান শহরে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া হাজারো বাসিন্দা। মহাসড়কে ফিরছে যানবাহনের সারি, হাতে পরিবারের সদস্য ও মালপত্র—এ যেন নিরাপত্তাহীন বাস্তবতার মাঝেও কিছুটা আশার আলো।
তবে এই ঘরে ফেরা নিছক আনন্দ নয়, বরং এক অনিশ্চিত যাত্রা। ৩৩ বছর বয়সী গ্রাফিক ডিজাইনার নিকা বলেন, “নিজের বিছানায় ঘুমানো যেন স্বর্গে ফেরার মতো।” যদিও স্বামীসহ তিনি ২৮৬ কিলোমিটার দূরে আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর কণ্ঠে উদ্বেগ, “এই যুদ্ধবিরতি কতটা টিকবে, নিশ্চিত নই।”
সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ছয় শতাধিক ইরানি, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ফেরা মানুষদের আশেপাশে স্পষ্ট ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসাবশেষ।এদিকে, যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও সহায়তার অভিযোগে চলছে গণগ্রেপ্তার। বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই দ্রুত দণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে, ফলে আতঙ্কিত জনগণ জানেন না—কে হবেন পরবর্তী ভিকটিম।
১৩ জুন ভোরে ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনায় প্রতিরোধমূলক হামলার মাধ্যমে শুরু হয় এই যুদ্ধ। এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা, যেটির কেন্দ্রস্থল ছিল তেহরান ও আশপাশের আবাসিক এলাকা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাবা বলেন, “যুদ্ধের আগে আমার জীবন ছিল ব্যস্ত—চাকরি, পড়াশোনা আর একা থাকা সব একসঙ্গে সামলে নিচ্ছিলাম। যুদ্ধ আমার স্বাভাবিক জীবন একেবারে থামিয়ে দিয়েছে।”
এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইরানিরা জানেন, এটি চূড়ান্ত নয়। ঘরে ফেরা যেন কেবল বাড়ির চার দেয়ালে নয়, এক
Leave a Reply