1. newsbhorerdhani@gmail.com : admi2017 :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ‘আমাদের নতুন পলিসি দুর্নীতিবাজদের স্বার্থে এখন আঘাত হানছে’ টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ এলাকাবাসীর-পর্ব-১ সন্ত্রাসীদের হামলা, লূটপাট,ও হত্যার হুমকি থানায় একাধিক অভিযোগ গৌরনদী থানার মাদক মামলায় নির্দোষকে ফাঁসিয়ে ডিবির এসআই হেলালের পথ বাণিজ্যের অভিযোগ নাসিরনগরে আইন শৃংখলার সভা অনুষ্ঠিত মোংলায় হাফেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদান বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ভাসছিলো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ আমতলীতে মসজিদের ইমামকে নারীসহ হাতেনাতে আটক, অপ্রাপ্ত বয়সের কারনে বিয়ে স্বীকার-অস্বীকার করছেন দুই পরিবার যে ৭ দফা দাবিতে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৮০১ ৮০.০০০বার
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।

১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে এক অভিজাত পরিবারে তার জন্ম। তার বয়স যখন সাত বছর তখন তার বাবা নিরুদ্দেশে যাত্রা করেন। ফলে তার মা সাবেরা খাতুন অনেকটা বাধ্য হয়েই বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এ কারণে তার শৈশব কেটেছে নানার বাড়িতে।

যে পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে পরিবারে নারী শিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হতো না। তার নানার বাড়িতে কথ্য ভাষা ছিল উর্দু। সেখানে বাংলা শেখারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বাংলা শেখেন মূলত তার মায়ের কাছ থেকে।

১৯২৩ সালে তিনি রচনা করেন প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’ যা বরিশালের তরুণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালে সওগাত পত্রিকায় তার প্রথম কবিতা বাসন্তী প্রকাশিত হয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল।

সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বিভিন্ন সংগঠন হাতে নিয়েছে নানা কর্মসূচি।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, এই মহীয়সী নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি ও মমতাময়ী মা। বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার দৃপ্ত পদচারণা।

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে-সাঁঝের মায়া, মায়া কাজল, মন ও জীবন, শান্তি ও প্রার্থনা, উদাত্ত পৃথিবী, দিওয়ান, মোর জাদুদের সমাধি পরে প্রভৃতি। গল্পগ্রন্থ ‘কেয়ার কাঁটা’। ভ্রমণ কাহিনী ‘সোভিয়েত দিনগুলি’। স্মৃতিকথা ‘একাত্তুরের ডায়েরি’।

সুফিয়া কামাল ৫০টিরও অধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় কবিতা পুরস্কার ও স্বাধীনতা দিবস পদক উল্লেখযোগ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2015 দৈনিক ভোরের ধ্বনি পত্রিকা
Theme Customized By BreakingNews