অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ)-এ ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা যেন পুরো অঞ্চলটিকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। হাজারো পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়, আর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার ভয়াবহতা এতটাই যে, সরকার একে ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ ঘোষণা করেছে। পরিস্থিতির গভীরতা বুঝতে শুক্রবার সকালে খোদ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এই দুর্যোগ শুরু হয় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণের মাধ্যমে, যা পরবর্তীতে সিডনি ও নিউক্যাসল অঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার (২৩ মে) ভোরে কফস হারবারের কাছে পানিতে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এর আগেও বুধবার বিকেলে তারি শহরের কাছে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। শহরটির পাশের নদীর পানির উচ্চতা ৬.৩ মিটার ছাড়িয়ে গেছে, যা প্রায় একশ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস (এসইএস) জানায়, তারা ৫৩৫টিরও বেশি উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে এবং ১৫০টির বেশি বন্যা সতর্কতা জারি রয়েছে, যার মধ্যে ৪০টি জরুরি পর্যায়ের। প্রায় ১০০টি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে হাজারো পরিবার, এবং বাস্তুচ্যুতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে কর্তৃপক্ষ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জরুরি পরিষেবা মন্ত্রী জিহাদ ডিব বলেন, “মধ্য ও উত্তর উপকূলে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ বন্যা দেখছি।” এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে উদ্ধারকাজে গতি আনা এবং ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের জরুরি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। এই বিপদের সময়, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে মানুষকে রক্ষা করতে এবং আগামী দিনগুলোতে দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি করতে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
Leave a Reply