নিলয় জাহাঙ্গীর, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:বরগুনার
আমতলীতে কুকুয়া ইউনিয়নে পুর্ব কুকুয়া গ্রামের স্কুল ছাত্রী মারিয়া ও ইমাম জোবায়ের এর অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পরেছেন এ প্রেমিক প্রেমিকা।
এতে এলাকাবাসী,আলেম সমাজ ও ইমাম সমিতি তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ইমাম জোবায়ের ও ছাত্রী মারিয়া দুজন দুজনার সাথে দীর্ঘদিন ধরে এ গভির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত বুধবার(২৫ জুন) ইমাম জোবায়ের তার বাড়ী ফাকা থাকায় প্রেমিকা মারিয়াকে ফোন করে তার বাড়ীতে আসতে বলেন। পরক্ষনে মারিয়া সন্ধার আগমুহুর্তে জোবায়ের এর বাড়ী পৌছায়।রাত গভির হতে থাকলে ওই বাড়ীর লোকজন সন্দেহ করে ওত পেতে থাকেন। তাদের দুজনের মধ্যে অনৈতিক কর্মকান্ডে জরানোর আগেই এলাকাবাসী তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম চুনাখালী ফারুক মিস্ত্রির বাড়িতে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে,আটক প্রেমিকা মারিয়া(১৪) খানদান নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী।তিনি কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুব সরদারের মেয়ে ও
ও আটক প্রেমিক জোবায়ের(২০)ইমাম খোরশেদ গাজী বাড়ী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি সরদার বাড়ী জামে মসজিদের ইমাম ও খোরশেদ গাজী বাড়ীর মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের বাসিন্দা ফারুক মিস্ত্রির ছেলে।
প্রেমিক জুবায়ের ও প্রেমিকা মারিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছে।
এক পর্যায়ে গতকাল বুধবার রাতে প্রেমিকা মারিয়াকে ফোন করে প্রেমিক জুবায়ের তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এসময় জোবায়ের এর বাসায় আর কোন লোক ছিলোনা।তারা ঘরে থাকাবস্থায় তাদের এ ধস্তাধস্তি ও কথা-কাটাকাটির শব্দ শুনে পারা-প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন।এ ঘটনায় বাড়ির জোবায়ের ও মারিয়াকে ঘরের মধ্যে পেয়ে হাতে নাতে ধরে ফেলেছেন স্থানীয়রা। এসময় তাদেরকে আটকে রেখে ওই এলাকার চৌকিদারকে ফোন দিলে তিনি এসে এ ঘটনার বিষয়টি জানেন।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে মান-সম্মানের কথা ভেবে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয় রাজি হন। মুহুর্তের মধ্যে এমন খবর ছড়িয়ে পরেছে ওই এলাকায়। তবে স্থানীয়রা জানান,মেয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান এলাকাবাসী । আবার কেউ জানান, তিনি একজন আলেম ও ইমাম মানুষ মান- সম্মান টিকিয়ে রাখতে তাদের নোটারি করে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাবও করেছেন এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকে। অবশেষে তাদের বিয়ে হলো কি হলো না এমন প্রশ্ন জনমনে…।
এ ব্যাপারে মো: মশিউর রহমান চৌকিদার বলেন,মারিয়া ও জুবায়েরকে হাতেনাতে স্থানীয়রা ধরে আমাকে ফোন দেয়। পরে আমি এসে মারিয়াকে জিজ্ঞাসা করি তুমি এখানে আসলে কিভাবে।
মারিয়া বলেন,আমাকে জোবায়ের ফোন দিয়েছে তার বাড়ী যাওয়ার জন্য। আমি মহিষকাটা বাজারে এসে তারপর ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে জুবায়ের এর বাড়িতে আসি।জুবায়ের আমাকে বিয়ে করবে এই আশ্বাস দেন। পরে রাত হলে জুবায়ের এর বাড়ির লোকজন মিলে আমাদের আটক করে। তবে স্থানীয়রা মান সম্মানের কথা ভেবে মারিয়া ও জোবায়ের ইমামকে এলাকাবাসী বিয়ের প্রস্তাব দিলে তারা তাতে স্বমত পোষন করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে কিছু লোক মারিয়ার অপ্রাপ্ত বয়স থাকায় এ প্রস্তাব নাকোচ করেন দেন। পরে প্রেমিকা মারিয়াকে তার পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ও প্রেমিক জোবায়েরকে তাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে মারিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মোমেলার কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন, মারিয়া ও জোবায়ের এর নোটারী করে বিয়ের কথাও স্বীকার স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা ইমাম সমাজের সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক জিহাদি বলেন,ইসলামি বিধানে মেয়ের বয়স হয়েছে।তবে রাষ্ট্রীয় আইনে তার বয়স অপ্রাপ্ত।ইমাম সাহেব যদি বিবাহ করে থাকেন সেটা ইসলামী বিধানে বৈধ হয়েছে।রাষ্ট্রীয় আইনে বাল্যবিবাহ আইনের আওতায় পরছে। সর্বোপরি রাষ্ট্রীয় আইনেই আমাদের চলতে হচ্ছে। তবে সে অপরাধ করছে এটা সত্য।
এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফুর রহমান জানান, মসজিদের ইমাম ও ছাত্রীর অসৌজন্যমূলক ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই,তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
Leave a Reply