মঙ্গলবার ব্রিটেন ইসরাইলের সাথে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে, রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং পশ্চিম তীরের বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলের নতুন হামলাকে ‘ভয়াবহ’ সামরিক বৃদ্ধি বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার ইসরাইলের গাজা সহায়তাকে ‘একেবারেই অপর্যাপ্ ‘ বলে অভিহিত করেছেন। সোমবার থেকে মাত্র পাঁচটি ত্রাণ ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং কানাডা গাজায় আক্রমণ বন্ধ না করলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
গাজায় দ্রুতই পর্যাপ্ত ত্রাণ না পৌঁছলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার।
গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান ও মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। দেশ তিনটি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারা অভিযানের অবসান ও যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, “ইসরাইলের সামরিক উত্তেজনায় আমরা স্তম্ভিত। আমরা আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।” এর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৮৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা করে একে “সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ও অতিরঞ্জিত” বলে উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, “গাজায় ইসরাইলের অভিযান আমরা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। সেখানে মানবিক সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। পশ্চিমতীরেও তাদের কার্যক্রম আমরা নিন্দা করছি। বসতি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা জারি করতেও আমরা পিছপা হব না।” সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স।
Leave a Reply